হ্যালো ,
"Future AI Learning"-এর আজকের পর্বে আপনাকে স্বাগতম!
গতকাল আমরা দেখেছিলাম কীভাবে একটি শক্তিশালী প্রম্পট ব্যবহার করে যেকোনো বিষয়ের উপর একটি গোছানো আউটলাইন বা কাঠামো তৈরি করা যায়।
আজ আমরা দেখব, এই কৌশলটি ব্যবহার করে কীভাবে "আরিফ" নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র তার পড়াশোনার সবচেয়ে বড় সমস্যাটির সমাধান করেছে।
কেস স্টাডি: আরিফের গল্প
সমস্যা: আরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র, কিন্তু তার একটি বড় সমস্যা ছিল। সে ক্লাসের লেকচার মন দিয়ে শুনত, কিন্তু পরে যখন নোটগুলো পড়তে যেত, তখন সবকিছু তার কাছে এলোমেলো মনে হতো। কোন অংশটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কোনটি পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে, তা সে বুঝতে পারত না। এর ফলে পরীক্ষার আগে তার উপর 엄청 চাপ পড়ত।
সমাধানের পথ: আরিফ সিদ্ধান্ত নিলো যে, সে তার লেকচার নোটগুলোকে আরও কার্যকরী করে তোলার জন্য AI-এর সাহায্য নেবে।
ধাপ ১: লেকচারকে টেক্সটে রূপান্তর প্রথমে, আরিফ তার ক্লাসের অডিও লেকচারগুলো Otter.ai বা এই ধরনের কোনো টুল ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক্সটে রূপান্তর (Transcribe) করে নিলো। এখন তার কাছে সম্পূর্ণ লেকচারের একটি লিখিত রূপ আছে।
ধাপ ২: বিস্তারিত প্রম্পটের ব্যবহার এরপর, সে গতকাল আমাদের শেখানো কৌশলটি ব্যবহার করে ChatGPT-কে একটি বিস্তারিত প্রম্পট দিলো:
*"তুমি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং স্টাডি কোচ। নিচে আমার 'Introduction to Macroeconomics' ক্লাসের সম্পূর্ণ লেকচারের টেক্সট দেওয়া হলো। এই লেকচারটি পড়ে, তুমি আমাকে নিচের বিষয়গুলো তৈরি করে দাও:
১. মূল সারসংক্ষেপ: সম্পূর্ণ লেকচারের মূল ধারণাগুলো ১০০ শব্দের মধ্যে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করো। ২. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: লেকচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পয়েন্ট বা টপিক বুলেট পয়েন্ট আকারে তালিকাভুক্ত করো। ৩. সম্ভাব্য প্রশ্ন: এই লেকচার থেকে পরীক্ষার জন্য সম্ভাব্য ৩টি প্রশ্ন এবং তাদের সংক্ষিপ্ত উত্তর তৈরি করো। ৪. সহজ ব্যাখ্যা: লেকচারের সবচেয়ে কঠিন অংশ, 'ইনফ্লেশন এবং জিডিপি-র সম্পর্ক', আমাকে একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।"*
ধাপ ৩: ফলাফল এবং পরিবর্তন এই একটি মাত্র প্রম্পটের উত্তরে, AI আরিফকে একটি অসাধারণ এবং গোছানো স্টাডি নোট তৈরি করে দিলো।
ফলাফল:
আরিফ এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেকচার নোট পড়ে সময় নষ্ট করে না। সে মাত্র ৫-১০ মিনিটেই সম্পূর্ণ লেকচারের মূল ধারণা পেয়ে যায়।
পরীক্ষার আগে কোন বিষয়গুলো পড়তে হবে, তা নিয়ে তার আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
তার পড়ার চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং সে আগের চেয়ে অনেক ভালো ফলাফল করছে।
এখান থেকে আপনার জন্য শিক্ষা: আরিফের গল্পটি প্রমাণ করে যে, AI শুধু লেখালেখি বা ডিজাইন করার টুল নয়, এটি আপনার পড়াশোনা এবং শেখার প্রক্রিয়াকেও বদলে দিতে পারে। সঠিক কৌশল জানা থাকলে, আপনি আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোকেও খুব সহজে সমাধান করতে পারেন।
সম্প্রতি (৯–১০ জুলাই ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নতুন মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশের নাগরিকদের বয়স ২১ বছর বা তার বেশি হলে তারা স্টার্টআপ উদ্যোক্তার জন্য ৪% সুদে ব্যবসায় ঋণ আবেদন করতে পারবেন
🔍 মূল তথ্য সংক্ষেপে:
সুদের হার ➝ মাত্র ৪% বার্ষিক, যা ত্রৈমাসিকভাবে পরিশোধযোগ্য ।
ঋণের সীমা ➝ ব্যবসার স্টেজ অনুযায়ী ২ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে; আগে সর্বোচ্চ ছিল ১ কোটি টাকা ।
যোগ্যতা ➝ ব্যবসা নিবন্ধন করায় যেন ১২ বছরের বেশি বয়স না হয়। অর্থাৎ, যেসব স্টার্টআপ ১২ বছর ধরেই চলছে, সেগুলোও আবেদন করতে পারে ।
২১–৪৫ বছর বয়স সীমা ➝ আগে এই নীতিতে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত ছিল; কিন্তু নতুন সার্কুলারে তা ২১ বছর বা তার বেশি করা হয়েছে, বয়সের উপরের কোনো বাধা নির্দিষ্ট করা হয়নি ।
ফান্ড ব্যবস্থা ➝
কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা 'স্টার্টআপ ফান্ড' হিসেবে পুনঃঋণ দিতে প্রস্তুত করেছে ।
একইসাথে, প্রতিটি কমার্শিয়াল ব্যাংক তার নিজস্ব 'স্টার্টআপ ফান্ড' তৈরি করবে, যা তাদের নিজস্ব মুনাফা থেকে প্রতি বছর ১% পুরো ৫ বছর পর্যন্ত আলাদা করা হবে ।
ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট অনুমতি ➝ এখন ব্যাংকগুলি শুধু ঋণই নয়, স্টার্টআপগুলোতে ইক্যুইটি বিনিয়োগও করতে পারবে, যেখানে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
💡 আপনার জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে?
আপনি যদি ২১ বছর বা তার বেশি বয়সি হন, তাহলে আপনি উক্ত শর্ত পূরণ করলে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ আবেদন করতে পারবেন।
সেই জন্য আপনার ব্যবসা ১২ বছরের বেশি পুরনো নয়, এবং সৃজনশীল, স্কেলযোগ্য ও নতুন প্রযুক্তি/পণ্য/প্রক্রিয়া centric হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়ায় আপনাকে স্টার্টআপ ট্রেনিং সার্টিফিকেট, ব্যক্তিগত গ্যারান্টরিজ, এবং প্রকল্প মূল্যায়ন তথ্য জমা দিতে হতে পারে।
ব্যাংক আপনার প্রোজেক্ট মূল্যায়ন করবে, এবং অগ্রগতির ভিত্তিতে অন্তত ৩ ধাপে ঋণ বিতরণ করবে।
একবার আপনি ঋণ পেলে, সিরিয়াস ডিফল্ট না করলে এর মাধ্যমে বিশ্বস্ততা ও ব্যবসায়িক গতি বৃদ্ধি হবে।
আমার কাছে খুবই দুঃখজনকভাবে মনে হয় বাংলাদেশের স্টার্ট আপ এর জন্য ২ কোটি থেকে ৮ কোটি টাকার লোন। এটা হতে পারত (১ লক্ষ থেকে ৮ কোটি) স্টার্টআফ শুরু করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা লাগে না, শুরু করতে হয়তো বা এক লাখ দুই লাখ টাকার মত লাগে, গরিবের জন্য স্টার্ট আপ শুরু করার কোন ফান্ড কেউ দেয় না এটাই হচ্ছে সবথেকে দুঃখজনক। যাদের কাছে টাকা আছে তাদেরকেই আরো বেশি বেশি টাকা অফার করা হয় আর যাদের কাছে টাকা নাই তাদেরকে কিছু অফার করা হয় না। এটাই হলো সবথেকে বড় সমস্যা!!!!!!
আগামীকালের ইমেইলে আমরা এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব—"একটি পারফেক্ট প্রম্পট লেখার গোপন কৌশল"। আমরা দেখাব কীভাবে আপনিও আরিফের মতো যেকোনো কাজের জন্য শক্তিশালী প্রম্পট তৈরি করতে পারেন।
আপনার শেখা আনন্দময় হোক!
শুভকামনা,
মাহাদি হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, Future AI Learning